ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতায় ১০ দিনের সময় পেলেন সানি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • ২২৬ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারী নির্যাতনের মামলায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্ত্রী নাসরিনের সঙ্গে সমঝোতা করতে জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যথায় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে ফের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আরাফাত সানি।
চতুর্থ দফায় আরাফাত সানির জামিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষ হতে যাওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আরাফাত সানি।

আদালত আরাফাত সানিকে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন এবং ওই তারিখের মধ্যে তাদের মধ্যে সমঝোতার পরামর্শ দেন। অন্যথায় আরাফাত সানির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন আদালত। আরাফাত সানির পক্ষে শুনানি করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, এম জুয়েল আহম্মদ এবং মুরাদুজ্জামান মুরাদ।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সানির স্ত্রী দাবি করা নাসরিন সুলতানা। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার অভিযোগ মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দীন মীর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঢাকা সিএমএম আদালতে নথি প্রেরণ করেন। এরপর আদালত মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়, সাত বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের ঘনিষ্ঠতা হয়। এক পর্যায়ে তারা দুজন দুজনকে ভালবাসেন। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরেও সানি দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নাসরিন সুলতানাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেননি। বারবার এ বিষয়ে চাপ দিলেও তিনি কালক্ষেপণ করেন।

এরপর গত বছরের ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা (nasrin sultana) নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নাসরিন সুলতানার আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানি-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ওই মামলায় সানি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় গত ২২ জানুয়ারি তার মা নার্গিস আক্তার থানার সামনে বাদীকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ওই দিন থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেন নাসরিন সুলতানা।

আরাফাত সানির বিরুদ্ধে নাসরিন সুলতানা নারী নির্যাতনের মামলা ছাড়াও যৌতুক আইনে একটি মামলা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গত ২২ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। চার্জশিটে আরাফাত সানির সঙ্গে যে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়েছিলে তা উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. ইয়াহিয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

স্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতায় ১০ দিনের সময় পেলেন সানি

আপডেট টাইম : ০৬:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারী নির্যাতনের মামলায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্ত্রী নাসরিনের সঙ্গে সমঝোতা করতে জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যথায় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে ফের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আরাফাত সানি।
চতুর্থ দফায় আরাফাত সানির জামিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষ হতে যাওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আরাফাত সানি।

আদালত আরাফাত সানিকে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন এবং ওই তারিখের মধ্যে তাদের মধ্যে সমঝোতার পরামর্শ দেন। অন্যথায় আরাফাত সানির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন আদালত। আরাফাত সানির পক্ষে শুনানি করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, এম জুয়েল আহম্মদ এবং মুরাদুজ্জামান মুরাদ।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সানির স্ত্রী দাবি করা নাসরিন সুলতানা। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার অভিযোগ মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দীন মীর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঢাকা সিএমএম আদালতে নথি প্রেরণ করেন। এরপর আদালত মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়, সাত বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের ঘনিষ্ঠতা হয়। এক পর্যায়ে তারা দুজন দুজনকে ভালবাসেন। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরেও সানি দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নাসরিন সুলতানাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেননি। বারবার এ বিষয়ে চাপ দিলেও তিনি কালক্ষেপণ করেন।

এরপর গত বছরের ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা (nasrin sultana) নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নাসরিন সুলতানার আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানি-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ওই মামলায় সানি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় গত ২২ জানুয়ারি তার মা নার্গিস আক্তার থানার সামনে বাদীকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ওই দিন থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেন নাসরিন সুলতানা।

আরাফাত সানির বিরুদ্ধে নাসরিন সুলতানা নারী নির্যাতনের মামলা ছাড়াও যৌতুক আইনে একটি মামলা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গত ২২ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। চার্জশিটে আরাফাত সানির সঙ্গে যে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়েছিলে তা উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. ইয়াহিয়া।